স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক কনক জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উজ্জ্বলের কংকাল তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক
গাজীপুর হাসপাতাল মর্গ
থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এসময় উজ্জ্বলের কংকাল দেখে স্বজনরা ও গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন।
থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এসময় উজ্জ্বলের কংকাল দেখে স্বজনরা ও গ্রামবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গত বুধবার দুপুরে জয়দেবপুর থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত হেলালের জবানবন্দী মতে গাজীপুরের
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাদেকলমেশ্বর নামক স্থানের একটি ডোবা থেকে নিহত উজ্জলের
কংকাল উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠায়।
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল হক জানান, নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দীঘলকুর্শা গ্রামের আব্দুর
রাশিদের ছেলে হেলাল ও একই গ্রামের উজ্জ্বল একসাথে গাজীপুরে সাইনবোর্ড এলাকায় একটি ভাড়া
করা বাসায় থাকতো। দুইজনই গাজীপুরের কুলিয়ারচর সোয়েটার ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করত। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট রাতে উজ্জল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। একদিন পর ১৫ আগষ্ট উজ্জ্বল নিখোজ মর্মে জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়রী করে হেলাল।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক কনক জানান, উজ্জ্বলের পরিবারের সদস্যরা উজ্জ্বল নিখোজ হওয়ার পেছনে হেলালকে সন্দেহ করে আসছিল। উজ্জ্বল নিখোজ হওয়ার পর থেকে হেলাল আর গ্রামে ফেরেনি। গত ২৭ আগস্ট হেলাল বাড়ীতে আসলে দীঘলকুর্শা গ্রামের লোকজন হেলালকে আটক করে কেন্দুয়া
থানা পুলিশে সোপর্দ করে। পরে জয়দেবপুর থানা পুলিশ এসে হেলালকে নিয়ে যায়। গত ২৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে জয়দেবপুর থানা
পুলিশ হেলালের জবানবন্দী অনুযায়ী জয়দেবপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাদে কলমেশ্বর
নামক স্থানের একটি ডোবা থেকে নিহত উজ্জ্বলের কংকাল উদ্ধার করে ।
২৯ আগস্ট উজ্জলের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে, দীঘলকুর্শা গ্রামের হেলাল (৪৫), তার স্ত্রী জোৎস্না আক্তার (৪০), মোমেন মিয়া (৩০), আমিরুল ইসলাম (২৫)
ও মদন উপজেলার বালালী গ্রামের রিপন (২৮) সহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে জয়দেবপুর থানায়
হত্যা মামলা দায়ের করেন, জানান এস আই ইকরামুল
হক ।
এস আই ইকরামুল হক আরো জানান, হেলালের স্ত্রী জোৎস্না আক্তারের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়ে থাকতে পারে। তবে তদন্ত শেষ না করে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। মামলার বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।
প্রতিবেদন : জিয়াউর রহমান জীবন
No comments:
Post a Comment