
এলাকাবাসী।
বেহাল চেংজানা-বঙ্গবাজার রাস্তা- সাহিতপুর রোয়াইলবাড়ী সড়কের চেংজানা নামক স্থান
থেকে এ রাস্তাটি বঙ্গবাজারে মিলিত হয়েছে। রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায়
৫ কিলোমিটার। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে এ রাস্তায় সরকারী ভাবে এক কোদাল মাটিও ফেলা
হয়নি। ফলে রাস্তার স্থানে স্থানে বিশাল বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ
ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও মুশকিল। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি আরো বিপদজ্জনক হয়ে পড়ে। রাস্তার এ করূণ অবস্থা থাকার ফলে এলাকাবাসী জরূরী চিকিৎসা সেবা থেকে
বঞ্চিত হচ্ছে। দীর্ঘ দেড়যুগে এ রাস্তায় জরূরী রোগীর মৃত্যু ঘটেছে ১৫টির মতো
এবং প্রসূতি মায়ের প্রসব হয়েছে অর্ধশতাধিক। দৈনন্দিন ব্যবসায়িক
কর্মকান্ড ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পরিবহনের অভাবে সময়মতো পাঠ গ্রহণে ব্যাঘাত
ঘটছে। এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার হার সন্তোষজনক থাকলেও উচ্চ শিক্ষার
হার খুবই নগন্য। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি পাকা করণের
প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর মনে এসব
জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ ও হতাশা দিনদিন বাড়ছে। সরকারী দল বা বিরোধী দলের উচ্চ পর্যায়ের কোন নেতা এলাকায় না থাকায় তদবিরও হচ্ছে
না। রাস্তাটি পাকা করণ আজ গণদাবীতে পরিণত হচ্ছে।
রঙ্গীখালি খালটি খনন করা হোক- খালটি মাছুয়াইল বিল হতে উৎপত্তি হয়ে কুমারখালী
নামক স্থানে বেতাই নদীতে মিলিত হয়েছে। এ খালের দৈর্ঘ্য প্রায়
২ কিলোমিটার। একাধিকবার খাল খনন করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গত বিএনপি
জোট সরকারের আমলে খনন করার জন্য প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাদ্দ
দিয়েছিল। এলাকাবাসী এ টুকুই জানেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে খাল খনন করা আর হয়নি। খালটি খনন না করায় পলিমাটি জমে বিলের চেয়ে খালটি কয়েক ফুট উঁচু হওয়ায় সারা বছর
বিলে জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। ইরি বোরো মৌসুমে বিলের
প্রায় হাজারো একর জমি অনাবাদী থাকায় এ এলাকার কৃষক শ্রেণী আজও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস
করছে। খালটি খনন করা হলে কৈলাটী, ফতেপুর, দ্বিগড়, সহিলাটি, মুকুন্দাবাদ, বিরামপুর,
হারারকান্দি সহ দশটি গ্রামে সহস্রাধিক কৃষকের
অভাব ঘুচবে এবং দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এদিকে বেতাই নদীর রামচন্দ্রপুর হতে মাছুয়াইল বিলে পতিত খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় আধা
কিলোমিটার। এ খালটি রোয়াইলবাড়ী ও সান্দিকোণা ইউনিয়নের সীমানা বহন করে আসছে
বহুকাল থেকে। এলাকাবাসীর এ খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের দাবী দীর্ঘদিনের। খালের উপর বাঁশের সাকো দিয়ে প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে কৈলাটী ফতেপুর দাখিল মাদরাসা ও বালুচর সরকারী প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী সহ হাজারো পথচারী পারাপার হয়। এ ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা
প্রতিদিনের শংকা থেকে স্বস্তিবোধ করবেন। এছাড়াও এলাকার শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলির অবকাঠামো উন্নয়ন ও আসবাবপত্রের সমস্যাদি আশু নিরসনে এমপি মঞ্জুর কাদের
কোরাইশীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী।
পোষ্ট : বাংলাদেশ সময় : বৃহস্পতিবার রাত ১০: ৫৫ মিনিট, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২।
No comments:
Post a Comment