সোমবার বিকেলে থানা প্রাঙ্গনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুর কাদের কোরাইশীর
উদ্যোগে এক বৈঠকে এ শপথ বাক্য পাঠ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর ও পৌরশহরের সলফ,
চকপাড়া-কমলপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়।
চকপাড়া-কমলপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সহ অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়।
গত ১২ নভেম্বর সৃষ্ট এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিভিন্ন গ্রামের দুই
সহস্রাধিক লোককে আসামী করে কেন্দুয়া থানায় মামলা করে। পরে ৯ মহিলা সহ ৬১ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশীর উদ্যোগে ওই দুই গ্রামবাসীর
বিরোধ মিমাংসার জন্য সোমবার থানা প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক
জাহাঙ্গীর চৌধুরীর পরিচালনায় ও সভাপতি মো: নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক বৈঠক
অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই দুইগ্রামের সংঘর্ষের কারণ বর্ণনা করেন আবু সায়েম খান ও
কামরুজ্জামান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র মো: আব্দুল হক ভূইয়া, সাবেক মেয়র দেলোয়ার হোসেন ভূঞা দুলাল, চিরাং ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ভূইয়া লিটন প্রমূখ।
বৈঠকে এমপি কোরাইশী তার বক্তব্যে বলেন,
মামলায় কোন প্রকার পুলিশী হয়রানী কিংবা
কাউকে গ্রেফতারও করা হবে না। তিনি আরো বলেন, এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে
আলোচনা করেই এসব মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য কেন্দুয়া থানার অফিসার
ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
মহিলা গ্রেফতারের ঘটনায় কেন্দুয়াবাসীর ক্ষোভের প্রেক্ষিতে এমপি কোরাইশী বলেন, এ বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে যদি কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের
অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও
ঘোষণা দেন তিনি।
পরে বৈঠকে উপস্থিত লোকজন ভবিষ্যতে আর কোনদিন এ ধরণের সংঘর্ষে লিপ্ত হবে না
মর্মে শপথ বাক্য পাঠ করেন। শপথ পাঠ করান
বৈঠকের সভাপতি। এ শপথে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ
৩ সহস্রাধিক লোক অংশ নেন।
এ ব্যাপারে চিরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ভূইয়া লিটন জানান, দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে বিরোধ মিমাংসাকল্পে বৈঠকে এলাকাবাসী সংঘর্ষ না করার
শপথ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী জানান,
একটি কুচক্রী মহল এ সংঘর্ষের ঘটনাকে
ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে সোমবার উভয় গ্রামের লোকজন সহ বিভিন্ন গ্রামের নেতৃস্থানীয়
ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এক বৈঠকে মিমাংসা হয় এবং ভবিষ্যতে কোন ধরণের সংঘর্ষে লিপ্ত না
হওয়ার শপথ করেছে এলাকাবাসী।
প্রতিবেদন : জিয়াউর রহমান জীবন
পোষ্ট : বাংলাদেশ সময় : সোমবার সন্ধ্যা ৭: ০৫ মিনিট, ১৯ নভেম্বর, ২০১২।
No comments:
Post a Comment