জানাগেছে, শনিবার রাত ১২টার দিকে জারিয়া থেকে ঢাকা গামী অতিরিক্ত
চিনামাটি বোঝাই একটি ট্রাক ঢাকা মেট্রো-ট ১৬০৮৭৩
ঝুকিপুর্ণ ওই বেইলী ব্রীজটি পার হওয়ার সময় বিকট শব্দে মাঝপথে ট্রাক সহ
ব্রিজটি নদীতে ধসে পড়ে। এতে ট্রাক ড্রাইভার মাসুদ মিয়া (৩৫) ও হেলপার রিয়াজ (২৫)
গুরুত্ব আহত হয়। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দুই দিক থেকে আসা শতশত যানবাহন আটকে গিয়ে রাজধানী ঢাকা
সহ সারাদেশের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম
দুর্ভোগ। আবার অনেকেই উপায়হীন হয়ে বিকল্প পথে অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরে
জেলা সদর নেত্রকোনা দিয়ে চলাচল করছে। এতে জনমানুষের
ভোগান্তি যেমন বেড়েছে অপরদিকে অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে গিয়ে যাত্রী পরিবহন ও মালামাল
পরিবহনের খরচ ও অনেকটা বেড়ে গেছে।
প্রায় একযুগ ধরে সওজ কর্তৃপ ব্রিজটিকে অসংখ্য তালি পট্টির মাধ্যমে কোন ভাবে
নড়বড়ে অবস্থায় দারকরিয়ে রেখে “ঝুকি পূর্ন সেতু, ৫টনের অধিক মালামাল পরিবহন নিষেধ” লিখিত সাইনবোর্ড টানিয়ে দায়িত্ব
এড়ানোর চেষ্টার করলেও ব্রিজটি পূননির্মানের ব্যবস্থা না করায় প্রায়ই ট্রাক সহ ধসে
পড়ে।
গত ৬ মাস আগেও ওই বেইলী ব্রিজটি ট্রাকসহ ধসে গেলে মেরামতের জন্য ৩ মাস সময়
লাগে। ওই তিন মাস সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে নেত্রকোণা সওজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাঈদ উদ্দিন বলেন ৫টনের অধিক
যানবাহন নিষেধ অমান্য করে ৩০ টন চিনামাটি নিয়ে এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ায় ব্রিজটি
বিধস্ত হয়ে যায়। তাই ট্রাক সহ চালকের নামে ২৮৯ ধারা মোতাবেক মামলা দায়েরের
প্রস্ততি চলছে ।
তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে বিকল্প রাস্তার বেইলী এনে ওই
ভাঙ্গা বেইলীর সাথে সংযোগ করা হবে। এতে প্রায় ১০/১৫
দিন সময় লাগতে পারে।পোষ্ট : বাংলাদেশ সময় : রবিবার রাত ৯: ১৮ মিনিট, ১৮ নভেম্বর, ২০১২।
No comments:
Post a Comment