খান জয়।
নেত্রকোণার ফুটবল প্রেমীরা জানান, আরিফ খান জয়, মিলু, চন্দন, জামরুল, বিপ্লব, সাইদুর, জীবন, খোকন, উজ্জ্বল, তায়েব,রব্বানী, সাইফুল, রুপুসহ অনেকেই। জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলার
ছিলেন তারা। পায়ের যাদুতে দুলিয়েছে ঢাকার মাঠ। বিমোহিত করেছে ফুটবল প্রেমিদের। এরা সবাই নেত্রকোণার। ফুটবলের হাতেখড়িও
নেত্রকোণার সবুজ মাঠে। পাচ বছর আগেও আন্তঃথানা ফুটবল, লীগ টুর্নামেন্ট, প্রীতি ম্যাচসহ নানা
আয়োজনের টুর্নামেন্ট লেগেই থাকতো বছরভর। এই ফুটবল চর্চার কারনেই সাফল্য আর খ্যাতির শীর্ষে পৌছে যায়
নেত্রকোনার ফুটবল অঙ্গন। নেত্রকোনার খেলাধুলার উন্নয়নের লক্ষ্যে শহরের সাতপাই এলাকায়
১৯৭৮ সালে নেত্রকোনা ষ্টেডিয়াম স্থাপিত হলেও এখন পর্যন্ত বড় ধরনে কোন উন্নয়ন হয়নি। ষ্টেডিয়ামের অফিস ভবনটির
জীর্ন দশা। ছাদ ছুইয়ে পানি পড়ে। গ্যালারি অপর্যাপ্ত। নেই কোন পানির ব্যবস্থা। ষ্টেডিয়ামের দুই সীমানা
প্রাচীর থাকলেও বাকি দুই পাশের কাটাতারের বেড়া ভাঙা। বর্তমানে মাঠের করুন
অবস্থা, বছরধরে লীগসহ অন্য টুর্নামেন্টের আয়োজন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আর ফুটবলার
উঠে আসছেনা।
ক্রীড়া সংগঠক এম এ রাজ্জাক বলেন, একসময় নেত্রকোণাকে বলা হতো
সংস্কৃতি এবং খেলাধুলার প্রান কেন্দ্র। এখন আর সেই ফুটবল নেত্রকোণায় নাই বললেই চলে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার যে
লীগ গুলো হতো তাও গত ৪/৫ বছর ধরে বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির
জন্যে লীগ ফুটবল খেলার দাবি জানান তিনি ।
নেত্রকোণা জেলা ক্রীড়া সংস্থার
সহসভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী জানান, আন্তঃ উপজেলা ফুটবললীগ
হচ্ছে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ নামে। মাঠের স্বল্পতা আছে
তারপরেও চেষ্টা করে যাচ্ছি ফুটবল প্রতিযোগিতা এখানে অনুষ্ঠিত করার। এমাসেই জেলা প্রশাসক গোল্ড কাপ শুরু করতে যাচ্ছি। এছাড়াও কমিশনার কাপের
ভ্যানু নেত্রকোণা পেয়েছে। অচিরেই কমিশনার কাপ ফুটবলও শুরু হবে। বর্তমান ষ্টেডিয়ামটি পূর্নাঙ্গ
ষ্টেডিয়ামে রুপান্তরিত করার সংস্কার কাজ শুরু হবে। পূর্নাঙ্গ মাঠ হয়ে গেলেই
পুরোদমে খেলা চালু হবে এবং নতুন নতুন ফুটবলার উঠে আসবে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি আরিফ খান জয়
বলেন, প্রথমেই সবুজ মাঠ গুলোকে
ফিরিয়ে আনতে হবে। খেলাধুলাকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। শুধু মাত্র নেত্রকোণার ষ্টেডিয়ামে হলেই হবে না, বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামে খেলা
হলেই হবে না, খেলাটি হতে হবে তৃনমূল পর্যায়ে। বাফুফে থেকে সাড়া বছরের
জন্য একটি ক্যালেন্ডার করা হয়। সেটি মূলত থাকে ঢাকা কেন্দ্রীক। তবে আমাদের এবার ট্যালেন্ট
হান্টিংএ নেত্রকোণাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে লীগ শুরু হবে। সাতটি বিভাগীয় শহর ভ্যানু
করে ট্যালেন্ট হান্টিং করছি। নেত্রকোণায় ১০ মাস খেলা চলবে। নেত্রকোণার মাঠ গুলোকে
সংস্কার করা হবে। মুক্তারপাড়ার মাঠে বালক লীগ শুরু হচ্ছে। বালক লীগ শেষ হলেই জেলা ফুটবল লীগ শুরু হবে। ষ্টেডিয়াম মাঠে অডিটরিয়াম, জিমসহ আমরা একটি আধুনিক
ষ্টেডিয়াম করছি। কিছু দিনের মধ্যেই ষ্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন কাজ শুরু হবে। কাজ চলার মাঝে বৈপরীত্য পরিবেশেও লীগ চলবে।
প্রতিবেদন
: লাভলু পাল চৌধুরী
No comments:
Post a Comment