Tuesday, November 13, 2012

হুমায়ুন আহমদের আজ জন্মদিন

নেত্রকোণার আলো ডট কম (জীবনী): জনপ্রিয় নন্দিত কথা সাহিত্যিক উপন্যাসিক নাট্যকার ও চলচিত্র পরিচালক হুমায়ুন আহমদের আজ জন্মদিন১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর কুতুবপুর, রোয়াইলবাড়ী, কেন্দুয়া, নেত্রকোণায় জন্মগ্রহন করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয় তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকারবলা হয়,
বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের তিনি পথিকৃনাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত ২০১১ পর্যন্ত
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিকবাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনকঅতুলনীয় জনপ্রিয়তা সত্বেও তিনি অন্তরাল জীবন-যাপন করেন এবং লেখলেখি ও চিত্রনির্মাণের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তাঁর বেশ কিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী তাকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ২০১১-এর সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর দেহে আন্ত্রীয় ক্যান্সার ধরা পড়েতবে টিউমার বাইরে ছড়িয়ে না-পড়ায় সহজে তাঁর চিকিসা সম্ভব হয়তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে দীর্ঘকাল কর্মরত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে জাতিসংঘে বাংলাদেশ দূতাবাসে সিনিয়র স্পেশাল অ্যাডভাইজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জুলাই ১৯,২০১২ এই নন্দিত লেখক ক্যান্সার নিয়ে চিকিসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরন করেন

পরিবার ও ছেলেবেলা
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে তকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেনতাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন তাঁর পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের_মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হনতাঁর বাবা লেখালিখি করতেন ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করতেনবগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেনগ্রন্থের নাম দ্বীপ নেভা যার ঘরে[৯] তাঁর অনুজ মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন বিজ্ঞান শিক্ষক এবং কথাসাহিত্যিক; সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট
ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল ছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম কাজলতাঁর পিতা নিজের নাম ফয়জুর রহমানের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমানপরবর্তীতে তিনি নিজেই নাম পরিবর্তন করে ‌হুমায়ূন আহমেদ রাখেনহুমায়ূন আহমেদের ভাষায়, তাঁর পিতা ছেলে-মেয়েদের নাম পরিবর্তন করতে পছন্দ করতেন১৯৬২-৬৪ সালে চট্টগ্রামে থাকাকালে হুমায়ুন আহমেদের নাম ছিল বাচ্চুতাঁর ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল এবং ছোটবোন সুফিয়ার নাম ছিল শেফালি
হুমায়ূন আহমেদের প্রথমা স্ত্রীর নাম গুলতেকিন আহমেদতাঁদের বিয়ে হয় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দেএই দম্পতির তিন মেয়ে এবং দুই ছেলেতিন মেয়ের নাম বিপাশা আহমেদ, নোভা আহমেদ, শীলা আহমেদ এবং ছেলের নাম নুহাশ আহমেদঅন্য আরেকটি ছেলে অকালে মারা যায়১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যভাগ থেকে শীলার বান্ধবী এবং তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী শাওনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মেএর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক অশান্তির অবসানকল্পে ২০০৫-এ গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয় এবং ঐ বছরই শাওনকে বিয়ে করেনএ ঘরে তাদের তিন ছেলে-মেয়ে জন্মগ্রহণ করেপ্রথম ভূমিষ্ঠ কন্যাটি মারা যায় ছেলেদের নাম নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ূন২০১১-এর সেপ্টেম্বের মাসে সিঙ্গাপুরে ডাক্তারী চিকিসার সময় তাঁর আন্ত্রীয় ক্যান্সার ধরা পড়েতিনি নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিসা গ্রহণ করেন

শিক্ষা এবং কর্মজীবন
তাঁর বাবা চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেছেন বিধায় হুমায়ূন আহমেদ দেশের বিভিন্ন স্কুলে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছেনতিনি বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সব গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেনতিনি পরে ঢাকা কলেজে ভর্তি হনএবং সেখান থেকেই বিজ্ঞানে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেনতিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন শাস্ত্রে অধ্যয়ন করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি (সম্মান) ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেনতিনি মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ৫৬৪ নং কক্ষে তার ছাত্রজীবন অতিবাহিত করেনপরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেনএই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী তোমাদের জন্য ভালোবাসা১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন

সাহিত্যকৃতি
স্বগৃহে বৈঠকী আড্ডায় হুমায়ূন আহমেদ
ছাত্র জীবনে একটি নাতিদীর্ঘ উপন্যাস রচনার মধ্য দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যজীবনের শুরুঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র হুমায়ূন আহমেদের এই উপন্যাসটির নাম নন্দিত নরকে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উপন্যাসটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি১৯৭২-এ কবি-সাহিত্যিক আহমদ ছফার উদ্যোগে উপন্যাসটি খান ব্রাদার্স কর্তৃক গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়প্রখ্যাত বাঙলা ভাষাশাস্ত্র পণ্ডিত আহমদ শরীফ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয় শঙ্খনীল কারাগার তাঁর ২য় গ্রন্থএ পর্যন্ত (২০০৯) তিনি দুই শতাধিক গল্পগ্রন্থ ও উপন্যাস প্রকাশনা করেছেনতাঁর রচনার প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো 'গল্প-সমৃদ্ধি'এছাড়া তিনি অনায়াসে ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অতিবাস্তব ঘটনাবলীর অবতারণা করেন যাকে একরূপ যাদু বাস্তবতা হিসেবে গণ্য করা যায়তাঁর গল্প ও উপন্যাস সংলাপপ্রধানতাঁর বর্ণনা পরিমিত এবং সামান্য পরিসরে কয়েকটি মাত্র বাক্যের মাধ্যমে চরিত্র চিত্রণের অদৃষ্টপূর্ব প্রতিভা তাঁর রয়েছেযদিও সমাজসচেতনতার অভাব নেই তবু লক্ষ্যণীয় যে তাঁর রচনায় রাজনৈতিক প্রণোদনা অনুপস্থিতসকল রচনাতেই একটি প্রগাঢ় শুভবোধ ক্রিয়াশীল থাকে; ফলে 'ভিলেইন' চরিত্রও তাঁর লেখনীতে লাভ করে দরদী রূপায়ণঅনেক রচনার মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধির প্রচ্ছাপ লক্ষ্য করা যায়ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস মধ্যাহ্ন তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে পরিগণিতএছাড়া জোছনা ও জননীর গল্প আরেকটি বড় মাপের রচনা যা কি-না ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধ অবলম্বন করে রচিততবে সাধারণত তিনি সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে লিখে থাকেনতাঁর লেখা শেষ উপন্যাস হলো 'দেয়াল'

ব্যক্তিজীবন
ঢাকা শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডীর ৩/এ রোডে নির্মিত দখিন হাওয়া এ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্লাটে তিনি বসবাস করতেনআর ঢাকার অদূরে গাজীপুরের গ্রামাঞ্চলে ৯০ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত বাগান বাড়ী 'নুহাশ পল্লী|নুহাশ পল্লীতে কাটত তার বেশীর ভাগ সময়তিনি বিবরবাসী মানুষ; তবে মজলিশী ছিলেনতিনি রসিকতা করতে খুব পছন্দ করতেনতিনি ভণিতাবিহীন ছিলেননিরবে মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি ও আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করা তার শখতবে সাহিত্য পরিমণ্ডলের সঙ্কীর্ণ রাজনীতি বা দলাদলিতে তিনি কখনো নিজেকে জড়িয়ে ফেলেননিতিনি স্বল্পবাক, কিছুটা লাজুক প্রকৃতির মানুষ এবং বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও অন্তরাল জীবন-যাপনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেনতিনি ছবি এঁকেও অবসর সময় কাটাতে ভালবাসতেনবাংলাদেশে তাঁর প্রভাব তীব্র ও গভীর; এজন্যে জাতীয় বিষয়ে ও সঙ্কটে প্রায়ই তাঁর বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমসমূহ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করে থাকত

হুমায়ূন আহমেদের গান
হুমায়ূন আহমদের গান বলতে বাঙলা ভাষার অন্যতম প্রধান কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ রচিত গান বোঝানো হয়ে থাকেহুমায়ূন আহমেদ মূলতঃ গান রচয়িতা বা গীতিকার ননকেবল নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে তিনি গান রচনা করে থাকেনতার অনেকগুলো গান বেশ জনপ্রিয়এসবের এলবাম প্রকাশিত

চলচ্চিত্র নির্মাণ
টেলিভিশনের জন্য একের পর এক দর্শক-নন্দিত নাটক রচনার পর হুমায়ূন আহমেদ ১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেনতাঁর পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে২০০০ সালে শ্রাবণ মেঘের দিন ও ২০০১ সালে দুই দুয়ারী চলচ্চিত্র দুটি প্রথম শ্রেনীর দর্শকদের কাছে দারুন গ্রহণযোগ্যতা পায়২০০৩-এ নির্মান করেন চন্দ্রকথা নামে একটি চলচ্চিত্র১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০০৪ সালে নির্মান করেন শ্যামল ছায়া চলচ্চিত্রটিএটি ২০০৬ সালে "সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র" বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এর জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলএছাড়াও চলচ্চিত্রটি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উসবে প্রদর্শিত হয় তাঁর সব চলচ্চিত্রে তিনি নিজে গান রচনা করেন২০০৮-এ আমার আছে জল চলচ্চিত্রটি তিনি পরিচালনা করেন২০১২ সালে তার পরিচালনার সর্বশেষ ছবি ঘেটুপুত্র কমলা (চলচ্চিত্র)
এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রএর মধ্যে ২০০৬ সালে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত দুরত্ব, বেলাল আহমেদ পরিচালিত নন্দিত নরকে এবং আবু সাইদ পরিচালিত নিরন্তর২০০৭-এ শাহ আলম কিরণ পরিচালিত সাজঘর এবং তৌকির আহমেদ নির্মাণ করেন বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র দারুচিনি দ্বীপ

নাটক
টিভি নাটক
১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য নাটক রচনা শুরু করেন তিনিএটি তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে
তার অন্যতম ধারাবাহিক নাটক -
এইসব দিন রাত্রি
বহুব্রীহি
কোথাও কেউ নেই
নক্ষত্রের রাত
অয়োময়
আজ রবিবার
এদের বেশিরভাগই ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে নির্মিতসাম্প্রতিক সময়ে তিনি বহু প্যাকেজ নাটক নির্মাণ করেছেন
পুরস্কার
বাংলা একাডেমী পুরস্কার ১৯৮১
শিশু একাডেমী পুরস্কার
একুশে পদক ১৯৯৪ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ কাহিনী ১৯৯৪, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১৯৯৪, শ্রেষ্ঠ সংলাপ ১৯৯৪)
লেখক শিবির পুরস্কার ১৯৭৩)
মাইকেল মধুসুদন পদক (১৯৮৭)
বাচশাস পুরস্কার (১৯৮৮)
হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০)
জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক

গ্রন্থতালিকা
মূল নিবন্ধ: হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্ম
নির্বাচিত উপন্যাস
নন্দিত নরকে
শঙ্খনীল কারাগার
এইসব দিনরাত্রি
জোছনা ও জননীর গল্প
মন্দ্রসপ্তক
দূরে কোথাও
সৌরভ
নি
ফেরা
কৃষ্ণপক্ষ
সাজঘর
বাসর
গৌরীপুর জাংশান
নৃপতি (নাটক)
বহুব্রীহি
আশাবরি
দারুচিনি দ্বীপ
শুভ্র
নক্ষত্রের রাত
নিশীথিনী
আমার আছে জল
কোথাও কেউ নেই
আগুনের পরশমণি
শ্রাবণ মেঘের দিন
আকাশ ভরা মেঘ
মহাপুরুষ
শূন্য
ওমেগা পয়েন্ট
ইমা
আমি এবং আমরা
কে কথা কয়
অমানুষ (অনুবাদ)
অপেক্ষা
মেঘ বলেছে যাবো যাবো
পেন্সিলে আঁকা পরী
অয়োময়
কুটু মিয়া
দ্বিতীয় মানব
ইস্টিশন
মধ্যাহ্ন (২ খণ্ড একত্রে)
মাতাল হাওয়া (২০১০)
শুভ্র গেছে বনে (২০১০)
ম্যজিক মুনসি'
আমরা কেউ বাসায় নেই (২০১২)
মেঘের ওপারে বাড়ি (২০১২)
এপিটাফ
হিমু সংক্রান্ত উপন্যাস
ময়ুরাক্ষী
দরজার ওপাশে
হিমু
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
এবং হিমু
পারাপার
হিমুর রুপালী রাত্রি
একজন হিমু কয়েকটি ঝিঝি পোকা
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
তোমাদের এই নগরে
সে আসে ধীরে
আঙ্গুল কাটা জগলু
হিমু মামা
হলুদ হিমু কালো র‌্যাব
আজ হিমুর বিয়ে
হিমু রিমান্ডে
হিমুর মধ্যদুপুর
চলে যায় বসন্তের দিন
হিমুর একান্ত সাক্ষাকার ও অন্যান্য
হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D.বল্টুভাই
মিসির আলি সংক্রান্ত উপন্যাস
দেবী
নিশিথিনী
"নিষাদ"
"অন্যভুবন"
বৃহন্নলা
ভয়
"বিপদ"
"অনীশ"
মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য
"আমি এবং আমরা"
"তন্দ্রাবিলাস"
"আমিই মিসির আলি"
বাঘবন্দী মিসির আলি
কহেন কবি কালিদাস
"হরতন ইশকাপন"
মিসির আলির চশমা (২০০৮)
মিসির আলি!আপনি কোথায়? (২০০৯)
"মিসির আলি আনসলভ" (২০১০)
যখন নামিবে আঁধার (২০১২)
আত্মজীবনী
বলপয়েন্ট
কাঠপেন্সিল (২০১০)
ফাউন্টেইন পেন
রংপেনসিল (২০১১)
নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ (২০১২)
হোটেল গ্রেভার ইন
আমার ছেলেবেলা
জীবনাবসান

মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ নয় মাস চিকিসাধীন থাকার পর ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে স্থানীয় সময় ১১:২০ মিনিটে নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদপুরুষ পরলোকগমন করেনএর পুর্বে ১২ দফায় তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিলঅস্ত্রোপচারের পর তাঁর কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও, শেষ মুহূর্তে শরীরে অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করায় তিনি দ্রুত অবনতির দিকে যানকৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে রাখার পর ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে ইন্তেকাল করেন হুমায়ূন আহমেদতাকে নুহাশ পল্লীতে দাফন করা হয়

তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

No comments:

Post a Comment