রোববার বিকেলে ওই গৃহবধূ মা তাকে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের ছয়দুন গ্রামের স্বামীর
বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোজাফরপুর
ইউনিয়নের ছয়দুন গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র সুমন মিয়ার সাথে কান্দিউড়া ইউনিয়নের
বেজগাতী গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের কন্যা রোজিনা আক্তারের ৯ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়েতে বরকে যৌতুক
হিসেবে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ আসবাবপত্র দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য রোজিনাকে চাপ প্রয়োগ করে
তার স্বামী ও তার পরিবার। কিন্তু রোজিনার পরিবারের
অপরাগতায় এ টাকা না পেয়ে রোজিনার উপর তাদের মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়।
নির্যাতিত রোজিনা জানান, তার স্বামী ঢাকার লালবাগে
মুদির দোকানে কাজ করে। সেখান থেকেও মোবাইল ফোনে তাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার
জন্য চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে।
তিনি আরও জানায়- ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার তার স্বামী মোবাইল ফোনে তার শ্বাশুরি
মা রেহানাকে দাবীকৃত টাকা না পাওয়ায় তার উপর
নির্যাতন চালানোর নিদের্শ দেয়। তাই বৃহস্পতিবার রাতে
রোজিনার হাত পা ও মুখে কাপড় বেধে শ্বাশুরী রেহেনা আক্তার, ননদ হারুলা এবং দেবর বাবর মিয়া মিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং ঘটনাটি যাতে অন্য কেউ জানতে
না পারে সেজন্য তাকে ঘরে ৩দিন আটকে রাখে।
রোজিনার মা জানান, আমি এ ঘটনার কিছুই
জানতাম না। ছয়দুন গ্রামের এক মহিলা আমাকে খবরটি জানালে রোববার বিকেলে আমি
আমার মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরূল
হুদা খান জানান,
রোজিনার অবস্থা গুরুতর। সমস্ত শরীরে আঘাত করার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেধে গেছে। রক্ত জমাটের জন্য অনেক সময় রোগির মৃত্যুও ঘটে থাকে।
পোষ্ট : বাংলাদেশ সময় : সোমবার সকাল ৯ : ১৪ মিনিট, ২২ অক্টোবর, ২০১২।
No comments:
Post a Comment