
খসড়া নীতিমালা” ১২ নামে খড়গ ঝুলিয়ে দিয়ে সরকারের ১২টা বাজানোর চক্রান্তে লিপ্ত । অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার প্রয়োজন আছে কিন্তু এমন কোন শর্ত জুড়ে দেয়া কি ঠিক হবে যা কোন দিনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। দেশের কৃতিসন্তান বিজয় সফট্ওয়ারের জনক প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার সঠিক কথাটিই বলেছেন যে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যারা রয়েছেন তারা ডিজিটাল শব্দের সাথে আদৌও পরিচিত নন। তাই তাঁরা ডিজিটালকে ‘টাল’ বানানোর চক্রান্তে লিপ্ত। তবে ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা ওই চিজরা অন্য কিছু পারুক আর নাই পারুক পাবলিক আর সরকারের পকেট কেটে কত তাড়াতাড়ি নিজের ভুড়ি মোটা করা যায় সে ফন্দি ফিকির তাদের রপ্ত। সরকার প্রধানের খোঁজ নেয়া প্রয়োজন যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা রাজাকার চক্রের সাথে জড়িত কিনা। কেননা দেশের প্রায় তিন শতাধিক অনলাইন সংবাদপত্রের মালিক নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে প্রতিটি মুহুর্তে সংবাদ বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করছেন। প্রিন্ট মিডিয়ায় যে সংবাদ পড়ার জন্য কমপক্ষে ১২ ঘন্টা অপেক্ষা করা লাগে অনলাইন সংবাদ পত্র সে সংবাদ ১২ মিনিটে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরছে। “অনলাইন গণমাধ্যম খসড়া নীতিমালা”১২ যারা প্রসব করে আত্মতৃপ্তি লাভ করলেন তাদের কাছে আমি প্রশ্ন করতে চাই আপনারা যে, রেজি: ফি বাবদ ৫লক্ষ টাকা এবং প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা রিন্যুয়াল ফি ধার্য করলেন অনলাইন পত্রিকাতে বছরে আপনারা কত লক্ষ টাকা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন ? প্রিন্ট মিডিয়ার ডিক্লারেশন দিতে কত টাকা ফি নেয়া হয়? আমার জানা মতে প্রেস এ্যান্ড পাবলিকেশন এ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুযায়ী এক টাকাও সরকারকে দেয়া লাগে না ( ঘুষের টাকা ছাড়া ) । উপরন্তু প্রিন্ট মিডিয়ায় বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়ে থাকে। যদি প্রশ্ন করি ওরা কি আপনাদের খালু হয় তা হলে তো আপনাদের মুখ বাংলার ৫ ’র মত হয়ে যাবে। তথ্য মন্ত্রনালয়ের এক মাঝারি কর্মকর্তাকে সে দিন বলতে শুনলাম যে নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে তা মুলত কম্যুনিটি রেডিও এবং টিভি’র জন্য তৈরী করা হয়েছিল। যখন অনলাইন সংবাদপত্রের নীতিমালার কথা বলা হলো তখন ওটাকে কপি করে ইম্পোজ করা হয়েছে। কি মজার ব্যাপার ছোলার ডাল দিয়ে ক্ষির রান্না করার মতই অবস্থা আর কি। দেশের প্রখ্যাত প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার কর্তাব্যক্তিদের জন্য যর্থাথই বলেছেন ‘ নেই কাজ তো খই ভাজ’ তেমনটিই হয়েছে তথ্যমন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। তবে তাদের কানে কালো টাকার মালিকদের সম্পাদনায় প্রকাশিত অনলইন সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে কু-মন্ত্রণা দেয়া হয়েছে এমন কথাও শুনা যাচ্ছে। তাই তো বলি কুড়াল কি কাঠের আছাড়ি ছাড়া কাঠতে পারে ? মীর জাফররা যুগে যুগে পরাজিত ও লাঞ্চিত হয়েছে এ কথাটা বুঝি দালালরা ভুলে যাননি । ধন্যবাদ জানাই বনপা’র কর্মকর্তাদের কে । তারা “অনলাইন গণমাধ্যম খসড়া নীতিমালা”১২কে কালো আইন বলেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, ওই আইন বাতিলের জন্য রীতিমত চালিয়ে যাচ্ছেন আপোষহীন সংগ্রাম। গত ২২ সেপ্টেম্বর তারা তথ্যমন্ত্রীকে ৫ দফা দাবিসহ স্মারকলীপি দিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছেন খোলা চিঠি।আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের হতাশা গ্রস্থ অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালিকদের মাঝে জাগিয়ে তুলেছেন আশার আলো। বনপা’র আন্দোলনকে আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারসহ দেশের লক্ষ জনতা। বনপা’র আন্দোলন জোরদার দেখে তথ্যমন্ত্রণালয় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। যারা এই নীতি মালা নিয়ে বাণিজ্য করতে চেয়েছিলেন বনপা’র আন্দোলনের কারণে তাদের সে গুড়ে বালি। মজার ব্যাপার হলো দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে বনপা’র আন্দোলন। বনপা’র শক্ত পায়ের আঘাতে ওরা ভীতসন্ত্রস্থ। বনপা’র আন্দোলন সফল হতে দেখে শংকিত দালালরা এখন গা বাঁচাকে ব্যস্ত। মাছের তেলে মাছ ভাজতে রাতরাতি কিছু ভুঁইফোড় কমিটি গঠন করা হয়েছে। “অনলাইন গণমাধ্যম খসড়া নীতিমালা”১২ এর বিরুদ্ধে তাদের কোন আন্দোলন নেই । নিজেদের জাহির করতেই তারা ব্যস্ত। সাবধান থাকতে হবে তাদের থেকে।
লেখক: সমাজ সেবক ও কলামিষ্ট
পোষ্ট : বাংলাদেশ সময় : শুত্রবার বিকেল ৪ : ২৪ মিনিট, ০৫ অক্টোবর, ২০১২।
পোষ্ট : বাংলাদেশ সময় : শুত্রবার বিকেল ৪ : ২৪ মিনিট, ০৫ অক্টোবর, ২০১২।
No comments:
Post a Comment