কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : সোমবার অনলাইনে ‘‘দ্বিতীয় শ্রেনী ছাত্রী শারমনিরে বিয়ে” মঙ্গলবার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন।
সে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার গগডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং গগডা
বিন্নাখালি গ্রামের রঙ্গু মিয়ার কন্যা।
পাত্র একই গ্রামের তবিয়ারগাতি পাড়ার মোগডাল মিয়ার ছেলে রাসেলের (১৯) সঙ্গে মঙ্গলবার
দুপুরে শারমিনের বিয়ে রেজিষ্ট্রি
হওয়ার কথা ছিল।
হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু এ বিষয়ে সোমবার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ
রেজাউল করিম মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা
করতে বলেন। পরে চেয়ারম্যান উভয় পরিবারের লোকদের বুঝিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করেন।
এদিকে, কেন্দুয়া থানা থেকে খবর পেয়ে সোমবার রাতে পেমই পুলিশ ফাঁড়ির
উপ পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান এবং এএসআই আবু রায়হান উভয় পরিবারকে বিয়ে বন্ধ করার
কথা বলে আসেন।
এ বিষয়ে গগডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা আরজুমান জানান, শারমিনকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়ার আগে বিয়ে দেবেনা বলে মঙ্গলবার
সকালে তার বাবা বিদ্যালয়ে দিয়ে গেছেন।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর শেখ জানান, এ অন্যায় করবেনা বলে পুলিশের কাছে উভয় পরিবারের লোকজন ওয়াদা
করেছে।
মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, খবর পেয়ে উভয় পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছি তারা এ বিয়ে হবেনা বলে আমাদের নিশ্চিত
করেছে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিয়ে বন্ধের কথা নিশ্চিত
করে জানান, এ বিয়ে হবে না বলে উভয় পরিবারের লোকজন মুচলেকা দিয়েছে।
পোষ্ট : বাংলাদেশ সময় : মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬: ০১ মিনিট, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২।
No comments:
Post a Comment