নেত্রকোনার ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলায় গারো টিলা কেটে সাদামাটি লুটপাট
চলছে। সুনির্দিষ্ট
নীতিমালা ও তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় সিরামিক সামগ্রী
তৈরীর প্রধান উপকরন মূল্যবান এ খনিজ সম্পদ সাদামাটি অবাধে লুটপাট হচ্ছে। এ নিয়ে নেত্রকোনাবাসী আন্দোলন সংগ্রাম করলেও সাদা মাটি লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না।
তৈরীর প্রধান উপকরন মূল্যবান এ খনিজ সম্পদ সাদামাটি অবাধে লুটপাট হচ্ছে। এ নিয়ে নেত্রকোনাবাসী আন্দোলন সংগ্রাম করলেও সাদা মাটি লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না।
১৯৫৭ সালে দূর্গাপুর উপজেলায় প্রথম সাদা মাটির সন্ধান পাওয়ার পর ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত্ম
বিভিন্ন সময়ে ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালায় খনিজ
সম্পদ বিভাগ। এতে বিজয়পুরে ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ১৫ থেকে ৪০ মিটার উচু অসংখ্য
সাদা মাটির টিলাতে ভূপৃষ্ঠের ৬০ মিটার গভীর পর্যন্ত্ম দুই দশমিক ৪৭ মিলিয়ন টন সাদা
মাটির মজুদ পাওয়া যায়। এর পর থেকে দেশের বেঙ্গল ফাইন সিরামিক ইন্ডাষ্ট্রিজ, মেসার্স মোমেনশাহী সিরামিক এন্ড গস্নাস ফ্যাক্টরী, মেসার্স চায়না বাংলা সিরামিক ইন্ডাষ্ট্রীজ লিমিটেড, মেসার্স ফু ওয়াং সিরামিক ইন্ডাষ্ট্রীজ,
মেসার্স জারডিন ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স জাকের রিফ্যাক্টরীজ এন্ড টাইলস এন্টার প্রাইজসহ ৮টি মাইনিং কোম্পানি মাটি
উত্তোলন করছে। কোম্পানীগুলো এ মাটি ব্যবহার করে তৈজসপত্র তৈরী করে আসছে।
নেত্রকোনার এই খনিজ সম্পদ রায় প্রশাসন নির্বিকার রয়েছে। অবাধে ও অপরিকল্পিতভাবে সাদা মাটি উত্তোলনের কারনে খনির মাটি
দ্রম্নত শেষ হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। কয়েকটি কোম্পানী বছরের পর বছর এই মাটি লুট করে কোটি কোটি টাকা
কামিয়ে নিচ্ছে অথচ সরকার রাজস্ব হারালেও কার্যকর কোন পদপে নিচ্ছেনা।
কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই মাটি উত্তোলন হচ্ছে জানিয়ে মাটি উত্তোলনে দ্রুত
শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ।
দেশের একমাত্র বিজয়পুরের এই খনিজ সম্পদ সাদামাটি রায় নীতিমালা প্রনয়ন করে কার্যকর
পদপে নেবে সরকার এমনটাই দাবী নেত্রকোনাবাসীর।
প্রতিবেদক - লাভলু পাল চৌধুরী
ইনডিপেনডেন্ট টিভি, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
No comments:
Post a Comment