
দূর্গত এলাকা কলমাকান্দা ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষক পলাশ বিশ্বাস জানান, পানিবন্দী মানুষেরা সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পানি বন্দী মানুষের মাঝে স্থানীয়
প্রশাসন এখন পর্যন্ত ত্রান দেয়া শুরু করেনি।
প্রশাসন এখন পর্যন্ত ত্রান দেয়া শুরু করেনি।
নেত্রকোণা পানিউন্নয়ন
বোর্ডের বন্যা সংত্রান্ত জরুরী কেন্দ্রের কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী নূর উদ্দিন জানান, বুধবার বেলা ৪টা পর্যন্ত জেলার কংস নদীর পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ১০৮ সেন্টিমিটার, উব্ধাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে ৬২ ও ধনু নদীর পানি
খালিয়াজুরী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পাহাড়ী সোমেশ্বরী নদীর পানি দূর্গাপুর পয়েন্টে গত ১২ ঘন্টায় ১৭ সেন্টিমিটার কমে
বিপদ সীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। তবে কংস, উব্ধাখালী ও ধনু নদীর পানি বেড়েই চলেছে জানান প্রকৌশলী নূর উদ্দিন।
দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলমাকান্দা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও )কামরুজ্জামান মিয়া জানান, কলমাকান্দা উপজেলার, রংছাতি,
লেংগুরা, নাজিরপুর, কলমাকান্দা, বরখাপন ও দূর্গাপুর উপজেলার কুলস্নাগড়া, গাওকান্দিয়া, দূর্গাপুর ইউনিয়নের ২৯টি গ্রাম পস্নাবিত হয়েছে।। অভ্যন্তরীন বেশ কিছু
সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত্ম হয়ে পড়েছে। বুধবার জেলাপ্রশাসন থেকে বন্যা দূর্গতদের জন্যে ৮ টন চাউল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে দূর্গতদের তালিকা পাওয়ার পর এই চাউল বিতরন
করা হবে জানান ইউএনও।
কুল্লাগড়া ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান পাঠান বলেন, এখন পর্যন্ত ত্রান
দেয়া সম্ভব হয়নি। যে ত্রান বরাদ্ধ এসেছে তা অপ্রতুল।এ ত্রানে কিছুই
হবেনা। আমাদেরকে মানুয়ের গালাগাল শুনতে হবে।
বেলা ৪টায় জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ
আব্বাস উদ্দিন জানান, বন্যার পানিতে এরই
মধ্যে দূর্গাপুর উপজেলায় ৩০হেক্টর জমির মৌসুমী সবজী ও ৩৫
হেক্টর জমির আমন বীজতলা এবং কলমাকান্দা উপজেলায়
৪০হেক্টর জমির আমন বীজতলা তলিয়ে গেছে।
আজ বেলা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রতিবেদক জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদের সাথে বন্যা নিয়ে কথা বলতে
মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করে এবং এসএমএস দিয়ে চেষ্টা করেও কথা বলতে পারেননি।
প্রতিবেদন : লাভলু
পাল চৌধুরী
No comments:
Post a Comment