সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গাভী গ্রামে বাপেক্স সুনেত্র তেল/গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পের কুপ খনন
মাঠে বন্যার পানি ঢোকে পড়ায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুনেত্র'র ভারপ্রাপ্ত খনন অধিকর্তা আব্দুস সালাম বিশ্বাস। তিনি জানান,
মঙ্গলবার সকালে প্রকল্পের কুপ খনন মাঠে পানি
ঢোকে পড়ে। মাঠে প্রায় ৬ ইঞ্চি পরিমান পানি হয়েছে।মাঠে পানি ঢোকার
পরপরই পানিতে
ক্ষতি হতে পারে এমন জরুরী যন্ত্রপাতি কাঠ দিয়ে পানি থেকে উচুতে রাখা হয়েছে। গাভী গ্রামের কুপ খনন মাঠটির অবস্থান হাওর এলাকায়। বর্ষা মওসুমে এমনিতেই হাওর এলাকায় থাকে বিস্তীর্ণ জলরাশি। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে এই বন্যা দেখা দেয়।
ক্ষতি হতে পারে এমন জরুরী যন্ত্রপাতি কাঠ দিয়ে পানি থেকে উচুতে রাখা হয়েছে। গাভী গ্রামের কুপ খনন মাঠটির অবস্থান হাওর এলাকায়। বর্ষা মওসুমে এমনিতেই হাওর এলাকায় থাকে বিস্তীর্ণ জলরাশি। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের পানিতে এই বন্যা দেখা দেয়।
তিনি আরো জানান, এই সূনেত্র প্রকল্পে
গ্যাস নিশ্চিত করতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কুপ খনন মাঠে ড্রিলিং শুরু করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল। গ্যাস অনুসন্ধানের শেষ ধাপ হচ্ছে কূপখনন। এই ড্রিলিং সামনে রেখে প্রকল্পের ৪জন প্রকৌশলীসহ ৪০জন কর্মী প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে কাজ করছিলেন দিনরাত। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতির কাজ চলছিল। পানি নেমে যাওয়ার সাথে
সাথেই পুরোদমে কাজ শুরু করা হবে জানান তিনি।।
আব্দুস সালাম বিশ্বাস জানান, সুনেত্রই দেশের সবচেয়ে
বড় গ্যাসত্রে হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।দেশে এই প্রথম অত্যাধুনিক
টাচ স্ক্রীনের ড্রিলার কনসোলের মাধ্যমে তারা এই ড্রিলিং কাজ করবে। পরবর্তীতে আরো ৪টি কূপ এবং পর্যায়ক্রমে কূপের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ১টি কূপ থেকে প্রায় আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়।
সুনেত্র তেল/গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পের পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, ২০০৮সালে নেত্রকোণা জেলার সীমান্ত উপজেলা মোহনগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের সীমান্ত উপজেলা ধর্মপাশায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান চালায়
পেট্রোবাংলার সংস্থা বাপেক্স। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যায় ধরা হয় ৮০ কোটি ২০ লাখ টাকা। জেলা দুটি সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা নামনুসারেই এই অনুসন্ধান প্রকল্পের নাম রাখা
হয় সুনেত্র। সংস্থাটি ২৬০কিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক অনুসন্ধান
জরিপ চালিয়ে প্রায় ২.৪০ ট্রিলিয়ন গ্যাস মওজুদ থাকার আশা করছে বাপেক্স জানান প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম।
প্রতিবেদন : লাভলু পাল চৌধুরী
No comments:
Post a Comment