Thursday, July 19, 2012

স্বপ্নের কলেজ গড়া হলোনা হুমায়ুনের

undefined
নেত্রকোনার কৃতি সন্তান জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের একটি আদর্শ কলেজ গড়ার স্বপ্ন পূরন হলো না।
তিনি গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে একটি বহুমুখি কলেজ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। যে কলেজ থেকে বিজ্ঞান, কলা, কৃষি, কারিগরি বিদ্যা অর্জন করবে শিক্ষার্থীরা জানান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, এই স্বপ্নকে সামনে
রেখে ১৯৯৬ সালে নিজের ৩ একর ভূমিতে স্থাপন করেন শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। শুরুতে ষষ্ঠ শ্রেনি দিয়ে শুরু করলেও ধাপে ধাপে বিদ্যাপীঠটি উন্নীত করেন দশম শ্র্রেনিতে। ২৫৭ জন শিক্ষার্থী ও ১৭জন শিক্ষকের এই বিদ্যাপীঠের খরচ বহন করতেন হুমায়ুন আহমেদনিয়ম করে প্রতি মাসের প্রথম দিন শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদান করতেন তিনিপ্রত্যেক মাসে বিদ্যাপীঠের ব্যয় বাবদ ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা দিতেন
বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকা সুরাইয়া বেগম জানান, গ্রামের শিক্ষার্থীদের যাতে শহরের স্কুলে যেতে না হয় সে ভাবেই বিদ্যাপীঠকে গড়ে তোলার জন্য বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের তিনি বলতেন । তিনি আরো বলতেন, শহর থেকে শিক্ষার্থীরা এসে এখানে পরবে। তিনি নিজেও স্বপ্ন দেখতেন, শিক্ষকদেরও স্বপ্ন দেখাতেন। উপমহাদেশের মধ্যে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে এই বিদ্যাপীঠটি। তিনি শিক্ষকদের উসাহ দিয়ে বলতেন, একদিন মডেল হিসেবে এই বিদ্যাপীঠকে নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সরকার নিজে থেকেই এই বিদ্যাপীঠকে সরকারীকরন করবে।
শুক্রবার প্রথম প্রহরেই বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী জেনে যান তাদের প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ আর নেই। স্কুল বন্ধের দিন হলেও সকাল থেকেই শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে জড়ো হতে থাকেন সবাই। ছড়িয়ে পড়ে শোকের আবহ। অনেকেই কাদছেন। কেউ কেউ স্মৃতিচারন করছেন।
প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার ফয়েজুর রহমানকে দেশ প্রেমের স্বীকৃতি স্বারক বাংলাদেশ পুলিশের স্বাধীনতা পুরষ্কার ২০১১ পান হুমায়ুন আহমেদের বাবা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সুপার ফয়েজুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রে চিকিসার জন্যে যাওয়ার আগে ২৭ মে তিনি এই পুরস্কার বিদ্যাপীঠে রাখতে দিয়ে যান।

প্র্রতিবেদন : লাভলু পাল চৌধুরী

No comments:

Post a Comment